[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি৩৬) শুরু হচ্ছে আগামীকাল। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ মার্চ। এ সম্মেলনে ৪৩টি দেশের প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া, সদস্য রাষ্ট্র, এফএও’র মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রায় ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন, যা এপিআরসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এফএও’র ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। বাংলাদেশ প্রথমবারের মত এ ধরনের একটি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এশিয়া এবং প্যাসিফিকভুক্ত ৪৬টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব, এফএও’র মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনবে এবং বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএও’র সদস্যভুক্ত হয়। তারপর থেকে এফএও দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষিতে বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলা করে কৃষিকে টেকসই করা, জলবায়ুসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভ্যালু চেইন আধুনিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানির ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। এছাড়া, কৃষিখাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয় সম্মেলনের মূল অধিবেশন/প্লেনারি সেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে। ৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দুই দিন (৮-৯ মার্চ) সিনিয়র অফিসিয়াল/কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মিটিং এবং শেষ দুই দিন (১০-১১ মার্চ) মন্ত্রি পর্যায়ের মিটিং হবে।
মন্ত্রি পর্যায়ের মিটিং বা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষায় ও কোভিড প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গাইডলাইন অনুসরণ করা হবে।