[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি। তার জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকার ১২ নম্বরে রাখা হয়েছে। এ জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকাসহ নগর জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা ভাঙচুর সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, শাহবাগ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও মৎস্য ভবনের সামনে ও প্রেসক্লাব ও আদালতের পুরো এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সহিংসতা-প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকবেও বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তারা। গতকালই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আপিল বিভাগের এজলাসে বসানো হয়েছে ৮টি সিসি ক্যামেরা। এছাড়া পুরো সুপ্রিম কোর্টই থাকবে সিসিটিভির আওতায়। মূলত বেগম জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে এজলাসে বসানো হয়েছে এগুলো। পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যানুসারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে আদালতের।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএনপির আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল করায় আজ জামিন শুনানিকে ঘিরে তাই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিক্ষোভ ও হট্টগোল করেন। ফলে ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
ওই দিন আদালতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থার মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে মেডিকেল প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।