[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
কুয়াশার সময় আখাউড়া-সিলেট পথে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে গত শুক্রবার রাত ও শনিবার একাধিক ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে। যাত্রা বাতিল হয়েছে দুই ট্রেনের। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগে তূর্ণা নিশিথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কুয়াশার সময় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তূর্ণার চালক কুয়াশার কারণে সংকেত দেখতে না পেয়ে অমান্য করেন বলে তখন আলোচনা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮ ডাউন কুশিয়ারা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট থেকে আখাউড়া স্টেশনে আসে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ওই ট্রেনের চালকসহ অন্য সহযোগীরা ১৭ আপ কুশিয়ারা এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে সকাল ৬টায় আখাউড়া থেকে সিলেট যাওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের নিয়মমাফিক বিশ্রাম শেষে ১৭ ডাউন ট্রেনটি সকাল ১০টার পর ছেড়ে যেতে পারত। একই ট্রেন ১৮ ডাউন হয়ে আবার ফিরে এলে বিলম্ব আরো বেড়ে যাবে। সেই চিন্তা থেকে দুটি ট্রেনেরই যাত্রা বাতিল করা হয়।
আখাউড়ার লোকেশেড ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই রেলপথে ট্রেনের গতি কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক চলতে গিয়ে ও আরো কিছু কারণে কুশিয়ারা এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কুশিয়ারা এক্সপ্রেসে আখাউড়ায় আসে।
সংশ্লিষ্টদের বিশ্রাম শেষে ট্রেনটি সাড়ে ১০টার পর ছেড়ে গেলে ফেরার পথে আবার বিলম্ব হতো। কেননা একই ট্রেন আবার সিলেট থেকে আখাউড়ায় আসার কথা। মূলত বিলম্ব কমানোর জন্যই এক দিন যাত্রা বাতিল করে রবিবার নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি আখাউড়া থেকে চালানো সিদ্ধান্ত নেন সংশ্লিষ্টরা।