[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে বিএনপি শিখবে এবং যে দুর্বৃত্তচক্রে বিএনপির রাজনীতি আটকা পড়েছে, সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসবে।
গতকাল ঢাকার শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিন ব্লকে চিকিৎসাধীন বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গণতন্ত্রের চর্চা নেই এবং সেখানে সঙ্কট উত্তরণের নির্দেশনাও নেই- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যে মন্ত্রী বলেন, তারপরও ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগ কাউন্সিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এজন্য তাকে ধন্যবাদ। আমি তাকে বলবো, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় ক্ষেত্রেও একটি মাইলফলক। ১৯৬৬ সালের আওয়ামী লীগ কাউন্সিল, যেখানে বঙ্গবন্ধু সভাপতি হয়েছিলেন, সেখানে সূচনা সঙ্গীত ছিল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ড. হাছান বলেন, ১৯৭৫ সালের পর রাজনীতিতে বণিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, সেই ধারা অক্ষুণ্ন রেখেছিল এরশাদ সাহেব এবং বেগম জিয়া তা ষোলকলায় পূর্ণ করেছে। সেই ধারা থেকে রাজনীতিকে উদ্ধার করে, রাজনীতি যে একটি ব্রত, তা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে নিয়মিত সম্মেলন হয়, বিএনপিতে কি সম্মেলন হয় এক কলমের খোঁচায় সেখানে সদস্য হয়, বাদও যায়।
আমাদের প্রত্যেক সম্মেলনের একটি ঘোষণাপত্র থাকে, এ সম্মেলনেরও আছে। সেখানে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, জাতিকে আমরা কোন লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে চাই, সব রয়েছে। বিএনপিতে তো এই চর্চা নেই।
কাউন্সিলে নেতৃত্বে তেমন কোনা পরিবর্তন নেই- এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মানেই নবীন-প্রবীণের মিলিত রক্ত¯্রােত সঞ্চালন। এবারও তা হয়েছে। আর পরিবর্তনই যে হতে হবে, এমন তো কথা নেই। যারা ভালো কাজ করছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সভাপতি তাকে সেকাজে রাখতেই পারেন।