[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ৭মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল প্রকৌশলীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দেশের প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রকৌশল শিক্ষার বিকাশ, মান নিয়ন্ত্রণ, প্রকৌশলীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আইইবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রকৌশলীদের মেধা-মনন, শ্রম-ঘাম জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ব্যতীত সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। সময়ের সাথে সাথে প্রকৌশল শিক্ষায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন উদ্ভাবন ও জ্ঞান। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দেশের প্রকৌশলীদের প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকা আবশ্যক বলে আমি মনে করি। আমি আশা করি, দেশের টেকসই উন্নয়নে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আইইবি’র নিরন্তর প্রয়াস অব্যহত থাকবে।
বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করেছে। প্রণীত হয়েছে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০। বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও কর্ণফুলি টানেলের মতো মেগা প্রকল্প। সরকারের এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে প্রকৌশলীদের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। প্রকৌশলীগণ নিজেদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
আমি আইইবি’র ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’র সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদাহাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”