[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ-জণিত অবনতিশীল অসহনীয় পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের অসহায়ত্ব ও বিপন্নতার সুযোগে একটি অসাধু ও দুষ্টপ্রকৃতির অতিমুনাফালোভী চক্র শ্বাসকষ্টের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনসহ জীবনরক্ষাকারী ওষুধপত্র ও সরঞ্জামের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানবিক বিপর্যয় ঘটানোর অমানবিক অপচেষ্টায় তীব্র ক্ষোভ,উদ্বেগ,উৎকন্ঠা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, মানবিক বিপর্যয় ঘনীভূত করতে অক্সিজেনসহ জীবন রক্ষাকারী জরুরী ওষুধপত্রের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে লিপ্ত অসাধু ব্যবসায়ী ও দুষ্টচক্র মানবতা ও জীবন বিধ্বংসী ভয়ংকর ঘাতক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের বিশেষ সিন্ডিকেটের আগ্রাসী নেটওয়ার্ক করোনা আক্রান্ত রোগী সহ সব ধরনের অসুস্থ মানুষের পরিবার ও পুরো জাতিকে জিম্মি করে ফেলেছে। সরকার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধ,আবেদন ও হুশিয়ারী সত্ত্বেও তাদের কিছুতেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে বাজার থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধপত্র সরিয়ে ফেলে গোপনে অবৈধ মজুদভান্ডার গড়ে তুলেছে। এমনকি তারা নকল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারবারীদের মাধ্যমে বাজারকে বিষাক্ত করে ফেলেছে। এই ঘাতক দুষ্ট চক্রের লাগামহীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রশাসনকে ধোকা দেয়ার জন্য তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের দরজা বন্ধ রেখে পেছনে দরজা দিয়ে অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের কু-প্রভাবে খোলাবাজারে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ জীবনরক্ষাকরী ওষুধপত্রের দাম স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ৮/১০ গুন বেশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে জাতি আজ হিমশিম খাচ্ছে। এমন কঠিন সময়ে যারা মজুদদারি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ কোভিড সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন, তারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করে চলেছেন।
আমি তাদেরকে শেষ বারের মত হুশিয়ার করে দিচ্ছি । অন্যথায় সেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ জড়িত সকলকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ, ঔষধ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।