অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার, মার্চ ১৯, ২০২১,১০:১২ পূর্বাহ্ণ
0
8

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ উদ্বোধন করেছেন। এ সময় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব বদরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বেলা চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বইমেলা উদ্বোধন করেন।

আগেই জানানো হয়েছে, বইমেলা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের মেলায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আগেই জানিয়েছেন, মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে বিষয়টি নজরদারির জন্য। এছাড়াও আমরা মেলার প্রতিটি প্রবেশ পথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছি। এর পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টি থেকে বাঁচতে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রও থাকছে।

এবার বইমেলায় প্রবেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট থেকে একটি নতুন প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এলাকা সংলগ্ন জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।

এবার কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, অনুবাদে সুরেশরঞ্জন বসাক, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনীতে ফেরদৌসী মজুমদার এবং ফোকলোর বিভাগে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বাইমেলা ঘুরে দেখেন। তার কিছুক্ষণ পরই সাধারণ দর্শনার্থী, লেখক ও পাঠকদের জন্য বইমেলার দুয়ার খুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা-২০২১ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হচ্ছে। এবারের বইমেলার মূল থিম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। আর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা।

এ মেলার পরিসর এবার আরও বেড়েছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বেড়েছে বইয়ের স্টল নিয়ে বসা প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা।

প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট এলাকার মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট, মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ উৎসবে বই বিক্রি করা হবে ২৫ শতাংশ ছাড়ে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। বইমেলা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে