[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দেশের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে অনলাইনে ক্লাস চালুর তাগিদ দিয়েছেন।
আজ রবিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অধিভুক্ত দুই হাজার ২৬০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালুর তাগিদ দিয়েছেন। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বেশকিছু নির্দেশনাও প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে আহবান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে অনলাইন ক্লাস চালু করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব কলেজের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তারা জরুরি ভিত্তিতে অনলাইন ক্লাস চালু করবে। যেসব কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ক্লাস সুবিধা নেই, তাদেরকেও দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আসতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরী করা মোবাইল অ্যাপস বা জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন-লাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজ/প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান অন-লাইন ক্লাস শুরু করে দিয়েছে।
কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে কোনো সেশনজট ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে লকডাউন শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নিমিত্তে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর যেন একের পর এক পরীক্ষা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি কলেজ ও শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সেশনজট নিরসনে আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে সফল হয়েছি।
শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সিংহভাগ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে তার নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করতে হয়। এই মহামারী চলাকালীন শিক্ষার্থীদের ধৈয্য ও দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং নিজ নিজ বাড়িতে বসে তার কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠগ্রহণ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অনলাইন কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। ছুটি দীর্ঘায়িত হলে নতুন করে সেশনজটে না পড়তে পরীক্ষা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের প্রস্তুতি নেয়ার জন্যে শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নে বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেছেন।