অধিক ইবাদত রোজার শেষ ১০ দিনে

বুধবার, মে ২৯, ২০১৯,৮:৫০ পূর্বাহ্ণ
0
115

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

পবিত্র মাহে রমজান বছর ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে । রহমত ও মাগফিরাতের দুই দশক পেরিয়ে আমরা উপনীত হয়েছি মুক্তির দশকে। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশকে। এই দশকের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দশকে বাড়িয়ে দিতেন ইবাদতের মাত্রা । জেগে থাকতেন প্রতিটি রাতে । হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রমজানের শেষ দশক এলে রাসুল (সা.) কোমর শক্ত করে বেঁধে নিতেন। এবং রাত জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০২৪)

উল্লিখিত হাদিসে কোমর বেঁধে নিতেন বলার উদ্দেশ্য হলো, বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন। আমাদের সমাজেও কোনো কাজকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে করার শব্দে বলা হয়ে থাকে।

এই দশকে শান্তির বার্তা নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আমি নাজিল করেছি এই কোরআন মহিমান্বিত রাতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত কী? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাতে প্রতিটি কাজের জন্য  ফেরেশতারা ও রুহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাতে শান্তিই শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত। (সুরা আল কদর, আয়াত : ১-৫)

কিছু কিছু হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, কোরআনে উল্লিখিত এই মহিমান্বিত রাত রমজানের শেষ দশকেই লুকিয়ে আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করো। (বুখারি, হাদিস : ২০১৭)

তাই লাইলাতুল কদরের ফজিলত অর্জন করার জন্যও শেষ দশকে অধিক ইবাদতের বিকল্প নেই।

এর সবচেয়ে সহজ পথ হলো, শেষ দশকে ইতিকাফ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.)ও শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০২৬)

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে